বিজেপির জনসংযোগ যাত্রার পাল্টা তৃণমূলের সাইকেল মিছিল : কৃষি বিল নিয়ে সরগরম রাজনীতি

29th November 2020 12:43 pm হুগলী
বিজেপির জনসংযোগ যাত্রার পাল্টা তৃণমূলের সাইকেল মিছিল : কৃষি বিল নিয়ে সরগরম রাজনীতি


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সিঙ্গুর ব্লক তৃনমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে সর্বভারতীয় তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীর নির্দেশে সাইকেল মিছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের কালা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলা যুব তৃণমূল সভানেত্রী সুমনা সরকার, সিঙ্গুর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া, যুব ব্লক তৃনমূল সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জী সহ অনান্যরা। নসিবপুর স্কুল মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে সিঙ্গুর বাজার হয়ে কামারকুণ্ডু পর্যন্ত যায়। বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, কৃষকের স্বার্থে সিঙ্গুরে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তাই এই কর্মসূচী কে আরো নতুন করে কালা আইনের প্রতিবাদে শুরু করতে চাইছি। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এইরাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবো। সম্প্রতি এই সিঙ্গুরের মাটিতে কৃষি বিলের সমর্থনে " শুনুন চাষী ভাই " শীর্ষক কর্মসূচী করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ‍্যায় । এমনকি কৃষক বাড়িতে মাটির দাওয়ায় বসে মধ‍্যাহ্নভোজ ও সেরেছেন । স্কুটি চালিয়ে জনসংযোগ করেছেন সিঙ্গুর সহ পাশ্বর্বতী এলাকায় । সিঙ্গুর থেকেই মমতা ব‍্যানার্জী র উত্থান , সিঙ্গুরেই পতন হবে বলে তোপ দেগেছিলেন লকেট চট্টোপাধ‍্যায় । মাঠে বসে কৃষি বিলের সমর্থনে কৃষকদের সাথে আলোচনাও করেছিলেন তিনি । তার রেশ কাটতে না কাটতেই মাঠে নামলো তৃৃণমূল । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।